ঋণ খেলাপি কাকে বলে এবং কত প্রকার তা বিস্তারিতভাবে জানুন।

কোন ব্যাংক বা আর্থিক লগ্নি প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে যদি তা সময়মত পরিশোধ করা না হয়, তখন ঋণ গ্রহীতা প্রতষ্ঠানটিকে ঋণ খেলাপি হিসাবে আক্ষায়িত করা হয়। এতে ব্যাবসায়ের সুনাম নষ্ট হয় এবং ব্যাংকের সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। দীর্ঘদিন যাবৎ ঋণ খেলাপি হিসাবে থাকলে ঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠান খেলাপির বিরুদ্বে মামলা দায়ের করেন এবং মামলার রায় অনুযায়ী খেলাপির বন্ধকী সম্পত্তি (যা ঋণের বিপরতে ব্যাংকে মর্টগেজ হিসাবে দেওয়া হয়েছিল) বিক্রয় করার ‍উদ্দেশ্যে নিলামে উঠায়। অতঃপর সর্বেোচ্চ মূল্য প্রস্তাবকারীর নিকট তা বিক্রয় করে থাকেন।

অন্যদিকে খেলাপি ঋণ গ্রহীতা সেই প্রতিষ্ঠান সহ অন্যান্য সকল আর্থিক প্রতষ্ঠানের নিকট ব্যাবসায়ের গ্রহণযোগ্যতা হারায়। ফলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নামে কোন নূতন ঋণ নেওয়া সম্ভব হয় না। ঋণ খেলাপি দুই রকম হইতে পারে। যেমনঃ

ঋণ খেলাপি কাকে বলে এবং কত প্রকার তা বিস্তারিতভাবে জানুন।
ঋণ খেলাপি কাকে বলে এবং কত প্রকার তা বিস্তারিতভাবে জানুন।

(১) ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিঃ

যার ঋণ পরিশোধ করার মত আর্থিক সঙ্গতি আছে কিন্ত ‍অসৎ উদ্দেশ্যে ঋণ পরিশোধের কোন ইচ্ছা নাই। এটা নিঃসন্দেহে একটি প্রতারণ। সাধারণত এই ঘটনা ঘটে যখন মোট ঋণের পরিমাণ বণ্ধকী সম্পত্তির বাজার মূল্যের চেয়ে বেশী হয়। অর্থাৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঠকাইবার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে সম্পত্তির মূল্য অনেক বেশী দেখীয়ে এবং কিছূ অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে এই সকল ঋণ গ্রহণ করা হয়। ফলে সেই খেলাপির সম্পত্তি নিলামে উঠানো ছাড়া আর তেমন কিছু করার থাকে না।

আর অসাধু ব্যাবসায়ীদের দাপট, ক্ষমতা, আর কলা-কৌশলের কাছে আর্থিক ঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলি হাড়মানতে বাধ্য হয়। ঋণ দানকারীরা কখনোই বন্ধকী সম্পত্তির মোট মূল্যের ৭০% এর বেশী ঋণ দেয় না। কিন্ত ঋণ গ্রহীতারা সম্পত্তির বাজার মূল্য (ফেয়ার মার্কেট ভেলু) অনেক বেশী দেখীয়ে অসৎ এবং অনভিঙ্গ কর্মকর্তাদের যোগসাজসে এই সব ঋণ গ্রহণ করে খাকে। আজ-কাল বেক্সিমকোর মত প্রতিষ্ঠানও ব্যাংকের টাকা মেরে খাওয়ার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। এটা কেবল অসাধু ব্যাবসায়িদের কাজ।

(২) অনিচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিঃ

অনেক ব্যাবসায়ী আছেন যারা নিজেরাও হিসাব-কিতাব তেমন বুজেনা, আবার টাকা-পয়সা খরচ করে ভাল একজন একাউন্ট্যান্টও রাখতে চায় না, কিংবা তা দরকার মনে করেন না। ফলে তারা বেহিসাবে ঋণ গ্রহণ করে ঋণ খেলাপিতে পরিণত হয় এমনকি অনক সময় দেউলিয়াও হয়ে যেতে পারে। ফলে তা ব্যাবসায়ীর অঙ্ঘতাই প্রমাণ করে।

আসলে ঋণ নেওয়ার পূর্বে ভাল একজন হিসাবরক্ষক দিয়ে ব্যাবসায়ের সমস্ত হিসাব যেমনঃ লাভ-লোকসান, আয়-ব্যয়, দায়-দেনা ইত্যাদি ভাল ভাবে নির্ণয় করতে হবে। অতঃপর হিসাব করে দেখতে হবে ব্যাবসায়ের যে লাভ হয় তা দিয়ে ঋণের সুদ এবং আসল (ইনষ্টলম্যান্ট) পরিশোধ করা সম্ভব কিনা। অর্থাৎ এখানে ব্যাবসায়ের লাভ এবং ক্যাশফ্লো বিশেষভাবে বিবেচ্য। আর তা একজন উচ্চ শিক্ষিত এবং দক্ষ একাউন্ট্যান্ট এর পক্ষেই কেবল সম্ভব।

সঠিকভাবে হিসাব করে ব্যাংক লোন নিলে কখনোই ঋণ খেলাপি হওয়ার কোন কারণ নেই, আর দেউলিয়া হওয়াতো দূরের কথা। অনিচ্ছাকৃতভাবে যারা ঋণ খেলাপি হয়েছেন কিংবা দেউলিয়া হয়েছেন তার একমাত্র কারণ সঠিকভাবে হিসাব না করা, তথা সঠিক হিসাব এবং হিসাব রক্ষক না থাকা। তবে এই কাজের জন্য দক্ষ, অভিজ্ঞ, উচ্চ শিক্ষিত হিসাব রক্ষক প্রয়োজন, ছদরউদ্দি বা নামে মাত্র হিসাব রক্ষকদিয়ে কাজ হবে না।

আমরা এই ব্যাপারে অনেক পারদর্শী। সুুুুুতরাং এই ধরনের সেবা পেতে হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুনঃ

মোঃ শামসুল আরেফিন

সি এ সিসি, পার্ট (১)

মোবাইল # ০১৭১৫ ৬৬০৯০৬

বিস্তারিত জানার জন্য ভিজিট করুন:  অ্যাকাউন্টিং, অডিটিং, ক্রেডিট রেটিং, আয়কর, ভ্যাট, এবং আর্থিক উপদেষ্টা পরিষেবা

(Visited 11 times, 1 visits today)

Leave a Comment